প্রিয় চাষী ভাই, ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে প্রায় প্রতি বছরই সিলেট অঞ্চলে প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা দেয়। শিলাবৃষ্টি ও অতিবৃষ্টি একটি প্রাকৃতিক দূর্যোগ। পাহাড়ি ঢল, অতিবৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যার ফলে মাঠে বিদ্যমান উঠতি বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। বর্তমান আবহাওয়ায় যে কোন সময় আরও ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে। মাঠে যদি বোরো ধান ৮০ ভাগ পাকা অবস্থায় থাকে তবে দেরি না করে তা কেটে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করুন। মেশিনের সাহায্যে ধান কাটার ব্যবস্থা করতে পারেন। আপনার নিকটস্থ যেখানে রিপার মেশিন আছে সম্ভব হলে রিপার মেশিন দিয়ে ধান কাটার ব্যবস্থা করতে পারেন।
পাশাপাশি গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগীকে যথা সম্ভব শুস্ক ও উঁচু জায়গায় রাখুন। যে সব পুকুরে মাছের চাষ করেছেন সে সব পুকুর বা দীঘির পাড় উঁচু করে বেঁধে দিন, যাতে পানি প্রবেশ করতে না পারে। পুকুরের পাড় উঁচু করা সম্ভব না হলে ছোট ফাঁসযুক্ত জাল, বাঁশের চাঁটাই বা বাঁশের বানা দিয়ে পুকুরের পাড় পানির উচ্চতার কম পক্ষে ২ হাত উচ্চতা পর্যন্ত ঘিরে মাছ সংরক্ষণ করুন।
প্রাকৃতিক দূর্যোগ আমাদের স্বাভাবিক কৃষি কাজ ও অগ্রগতিকে লন্ডভন্ড করে দেয়। বর্তমান করণীয় কাজগুলো যত্নের সাথে ঠিকমতো বাস্তবায়ন করতে পারলে প্রাকৃতিক ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে নেয়া সম্ভব। মনে রাখতে হবে, প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করেই আমাদের বেঁচে থাকতে হয়।
প্রচারে- কৃষি তথ্য সার্ভিস, সিলেট।